জমাটবদ্ধ সার রাজশাহীসহ কয়েকটি জেলায় সরবরাহ: চুক্তিবদ্ধ কোম্পানির কাছে ফেরত

জমাটবদ্ধ সার রাজশাহীসহ কয়েকটি জেলায় সরবরাহ: চুক্তিবদ্ধ কোম্পানির কাছে ফেরত

জমাটবদ্ধ সার রাজশাহীসহ কয়েকটি জেলায় সরবরাহ: চুক্তিবদ্ধ কোম্পানির কাছে ফেরত
জমাটবদ্ধ সার রাজশাহীসহ কয়েকটি জেলায় সরবরাহ: চুক্তিবদ্ধ কোম্পানির কাছে ফেরত

স্টাফ রিপোর্টার: ২৫৫ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার ফিরিয়ে দিয়েছে রাজশাহীর বাফার গোডাউন। বুধবার (২৩ জুন) রাতে রাজশাহীর গোডাউনে গুদামজাত না করে সারারাত ট্রাকগুলো আটকে থাকে গুদামের সামনে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সকালে ট্রাকগুলো ঢাকায় ফেরৎ পাঠানো হয়।

কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, গোডাউনে যে ইউরিয়া এসেছে তা জমাট বাঁধা। বড় বড় দলা আকৃতির এসব সার জমি ও ফসলে ব্যবহার অনুপযোগী। তাই এখানকার পরিবেশক ও বাফার কর্তৃপক্ষ সার ঢাকায় ফেরৎ পাঠিয়েছে।

কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, বুধবার (২৩ জুন) রাতে ১৫ ট্রাক ইউরিয়া আসে ঢাকার নবাব অ্যান্ড কোং লিমিটেড থেকে। প্রতি ট্রাকে প্রায় ১৭ টন সার ছিল।সারের বস্তাগুলো পাথরের মতো শক্ত হওয়ায় আনলোডিংয়ে আপত্তি জানায় বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী শাখা। পরে স্থানীয় পরিবেশকদের আপত্তির মুখে সার গ্রহণ বন্ধ করা হয়।

জানা গেছে, রাজশাহী বাফার গোডাউন থেকে রাজশাহী ও নওগাঁ জেলার বেশ কিছু ডিলার সার সংগ্রহ করে।বস্তায় ৫-৭ কেজি পরিমাণে কম থাকায় ও সার জমাট বেঁধে শক্ত হওয়ায় এসব সার আনলোডিং করতে দেননি স্থানীয় ডিলাররা।

বাফার গুদাম কর্তৃপক্ষ জানান, ঘটনাটি রাতেই জানানো হয় রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালককে।তারা জমাট বাঁধা সার গ্রহণ না করার নির্দেশ দেন।ফলে সারারাত ট্রাক আটকে থাকে গুদামের সামনে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সকালে আটকে থাকা ট্রাকগুলো ঢাকায় ফেরৎ পাঠানো হয়।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল জলিল বলেন, রাজশাহীর বাফার গুদামে আসা ইউরিয়া জমাট বাঁধা ও অনুপযোগী হওয়ায় গুদামে নামাতে দেয়া হয়নি। কৃষি বিভাগ জমাট বাঁধা সার ব্যবহার অনুপযোগী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কী পরিমাণ সার এসেছিল বা ফেরৎ গেছে সেসব বিষয়ে কৃষি বিভাগ ভালো বলতে পারবে।

রাজশাহী বাফার গুদাম ইনচার্জ সাজেদুর রহমান বলেন, সার জমাট বাঁধা তাই গ্রহণ করা হয়নি। এসব সার ফ্রি দিলেও কৃষক নেবে না। এর আগেও নবাব অ্যান্ড কোং লিমিটেড গুদামে সার দিয়েছে। তবে এবারের চালানে সার থেকে পানি ঝরছিল।

গুদামের সহকারী ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিবস্তা পাথরের মতো শক্ত ছিল।এসব সার ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তাই আনলোড করতে দেইনি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কে জে এম বলেন, মূলতঃ সার লোড করার সময় পানি পড়ছিল। এতে সারের গুণগত মান পরিবর্তন হবে না ঠিকই, তবে জমাট বাঁধার কারণে কৃষক এটা ব্যবহার করতে পারবে না।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply